ভয়ানক অস্ত্র আবিষ্কার করল চীন, জানুন এর ক্ষমতা!

বিশ্বে প্রতিনিয়ত বাড়ছে অস্ত্র তৈরির এক তুমুল প্রতিযোগিতা। কোন দেশ থেকে সেরা অস্ত্র তৈরি করে নিজেরে দেশকে শক্তি বাড়াতে পারে চলছে সেই প্রতিযোগিতা। আর এবার নিজেদের অস্ত্রাগারে এমনই নতুন এক লেজার অস্ত্র আবিষ্কার করল চীন।যা নতুন করে যুক্ত হলো দেশটির অস্ত্রগারে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সামরিক সক্ষমতাও ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছে চীন। এবার এক বিস্ময়কর অস্ত্র তৈরি করছে শি জিনপিং এর দেশ। রাইফেলের আদলে তৈরি অস্ত্রটি আদতে একটি লেজার গান।এ অস্ত্র থেকে নির্গত শক্তিশালী লেজার রশ্মি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে আঘাত হেনে মারাত্মকভাবে পুড়িয়ে দিতে বা আগুন ধরিয়ে দিতে পারে।

চীনা গবেষকদের মতে, অদূর ভবিষ্যতে এটাই হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক হাতে বহনযোগ্য অস্ত্র, যার নাম দেওয়া হয়েছে জেডকেজেডএম-৫০০ (ZKZM-500)। পরপর ১০০০ বার ফায়ার করা যাবে এটি থেকে। এটা ফায়ারের সময় লাগবে ২ সেকেন্ড। গাড়ি কিংবা জাহাজেও লাগানো যাবে এই অস্ত্রের কিছুটা ভিন্ন সংস্করণ।

জেডকেজেডএম-৫০০ নামের এই লেজার অস্ত্র তাৎক্ষণিকভবে মানুষের চামড়া ও টিস্যু পুড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি অসহ্য যন্ত্রণার কারণ হবে এটি। একজন লেজার অস্ত্র বিজ্ঞানী দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে জানিয়েছেন, নতুন এই ডিভাইস কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দিতে সক্ষম হবে। আর পরনের পোশাক যদি দাহ্য পদার্থের তৈরি হয়, তাহলে মুহূর্তের মধ্যে পুরো শরীর আগুনে গ্রাস করে ফেলবে।

চীনের মারাত্মক এই সর্বাধুনিক অস্ত্র এক কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো ব্যক্তিকে মেরে ফেলতে পারে। আর এজন্য প্রয়োজন হবে মাত্র একটি আলোকরশ্মি, যা খালি চোখে দেখাও যাবে না। প্রয়োজন হবে না কোনো গুলির। শুধু ব্যাটারির চার্জেই চলবে এ অস্ত্র। অস্ত্রটির ওজন হবে আনুমানিক তিন কেজি। আর আয়তনে হবে অনেকটা একে৪৭ রাইফেলের মতো।

অস্ত্রটি তৈরির কাজে জড়িত বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, অস্ত্রটির আকার ছোট হওয়ায়, তারা ব্যাপকহারে অস্ত্র তৈরিতে প্রস্তুত রয়েছেন। প্রতিটি অস্ত্র ক্রয় করতে খরচ গুণতে হবে এক লাখ ইউয়ান; যা বাংলাদেশি টাকায় ১২ লাখ।

তবে কবে নাগাদ তাদের এই নতুন অস্ত্রটি আসবে সামরিক বাহিনীর কাছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে চীনে ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে সেই অস্ত্র। তা ব্যবহার করে গুলি করার ভিডিও ফুটেজও দেখা গেছে অনলাইনে।তদের তৈরি হলো নতুন অস্ত্র ক্ষমতা বাড়ল দেশটিতে।